ভূমিকা 

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারবর্গের কল্যাণ কার্যক্রম পরিচালনার্থে মহামান্য রাস্ট্রপতির আদেশ পিও-৯৪/৭২ বলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান-  ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেন ১৯৭২ সালে তাঁর প্রদত্ত ৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ৯টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান মোট ১৮ টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টেও যাত্রা শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯৭৮ সালে আরও ১১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ট্রাস্টকে প্রদান করা হয়। তাছাড়া ট্রাস্ট নিজস্ব উদ্যোগে ৩টি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে।এতে ট্রাস্টের সর্বমোট শিল্প ও  বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্বাড়ায় ৩২টি । ৩২টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক  পুঁজি প্রত্যাহার পূর্বক ৭টি প্রতিষ্ঠান বিক্রি করা হয়  এবং ৮টি প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে ফেলা হয়। বর্তমানে ১৭টি প্রতিষ্ঠান অবশিষ্ট রয়েছে । বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এবং নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ সকল প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব শিল্প ও  বাণিজ্য বিভাগ পালন করে থাকে। 

 কার্যাবলী 

ট্রাস্টের চালু এবং বন্ধ প্রতিষ্ঠান সমূহের বিপুল সম্পদের বিষয়ে নির্বাহী কমিটি ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভায় উপস্থাপনের জন্য কার্যপত্র প্রণয়ণ , সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, ডেভেলপার ও অন্যান্য পার্টির সাথে প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক যোগাযোগ স্থাপন,আইনী মতামত গ্রহনের নিমিত্ত মামলার তথ্য উপাত্ত সরবরাহকরণ, সরকারি নিরীক্ষার জবাব প্রস্তুতকরণ এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের বিষয়ে মন্ত্রনালয় এবং সংসদীয় কমিটির চাহিদা মোতাবেক জবাব প্রেরণ করতে হয়। মহান জাতীয় সংসদের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের তাৎক্ষনিক জবাব করতে হয়।এসকল কার্যক্রমের নথিপত্রাদি সংরক্ষন, যাবতীয় নথিপত্র সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন করণ;  কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি বিষয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেশ করণ;  সংশ্লিষ্ট নথি সমৃদ্ধ করনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করণ ইত্যাদি অত্র বিভাগ পরিচালনা করে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক ন্যাশনাল পোর্টালের আওতায় সকল মন্ত্রনালয়/বিভাগ ও অধিদপ্তরের জন্য ওয়েব পোর্টাল তৈরীর নির্দেশ রয়েছে। তদনুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পোর্টালের তত্ত্বাবধানে ন্যাশনাল পোর্টালের আওতায় ট্রাস্টের জন্য রেজিস্ট্রিকৃত ডোমেইন এর কার্যক্রম শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের অংশ।

 একনজরে বর্তমানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট-এর সকল জমি

ট্রাস্ট এর বর্তমান অবস্থাঃ

ট্রাস্টকে আধুনিকায়ন ও স্বনির্ভর করার জন্য বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ৬৪ তম এবং ৬৫ তম সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।  ৩টি স্থানে শেয়ারিং পদ্ধতিতে বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণসহ এ সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলছে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা চট্টগ্রামের নাসিরাবাদস্থ বাক্সলী পেইন্টস এর জমিতে ৭,৫০০বর্গফুট বিশিষ্ঠ ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করে বার্ষিক ১৮(আঠার) লক্ষ টাকায় মে/২০১৪ হতে ভাড়া দেয়া হয়েছে। বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানে আরো ২৮,১২৫ বর্গফুট জমির উপর টেন্ডারের মাধ্যমে ওয়্যারহাউজ নির্মানের কার্যক্রম চলছে।বাক্সলী ওয়্যারহাউজ ট্রাস্টের একটি আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠান।

ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুরে গজনবী সড়কে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানার্থে ২টি বেজমেন্টসহ ১৫তলা বিশিষ্ট আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির ৩০ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবনের  বানিজ্যিক অংশ ভাড়া প্রদানের জন্য ২৮/০৯/২০১৫ খ্রিঃ তারিখে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী টেন্ডার কার্যক্রম চালু থাকা অবস্থায় একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং-১০৬৫৯/২০১৫ এর প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট  টেন্ডারের কার্যক্রম ০৩(তিন) মাসের জন্য স্থগিত করে। মহামান্য হাইকোর্ট হতে নিস্পত্তি সাপেক্ষে শীঘ্রই বিধি মোতাবেক বানিজ্যিক অংশ ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান হতে আয় হবে।আশা করা যায় শীঘ্রই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট একটি স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।